শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যস্ত থাকার ফলে ঘুম কমে গেছে অনেকেরই। ফলে বাড়ছে রোগ। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা কম ঘুমায় কিংবা যারা বেশি ঘুমায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং কম বাঁচে।
এমনকি মোটাও হয়ে যেতে পারে কম ঘুমানোর ফলে। মোটের ওপর অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুম প্রত্যেকের প্রয়োজন।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বয়োঃসন্ধিকালের আগ পর্যন্ত প্রতি রাতে ১১ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। নবজাতকদের প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছর, তাদের প্রতিরাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয় কিনা তা বলা কঠিন। তবে একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক আছে। অনেকে আছেন, যারা সাংঘাতিকভাবে ঘুম বঞ্চিত। রাতে এক-দুই ঘণ্টার বেশি তাদের ঘুম হয় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।
ঘুম কম হওয়ার কারণে শারীরিকভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীজুড়ে একশ ৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের ওপর এসব গবেষণা চালানো হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, একটানা কয়েক রাত যদি ঘুম কম হয়, তাহলে সেটি ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের নিদ্রাহীনতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
ঘুম কম হলে টিকার কার্যকারিতা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম হলে ক্ষুধার তীব্রতা বাড়ে এবং এতে বেশি খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।