শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন
রাজধানীর নিমতলীর পর আগুনের বড় ধাক্কা লাগে চুরিহাট্টায়। চকবাজারের চুরিহাট্টার শোক কাটতে না কাটতেই বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনা, এরপর গুলশান। প্রায়দিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও আগুন লাগছে। আগুনে শুধু মানুষ নয়; নিরাপদে থাকার স্বপ্নও পুড়ছে নগরবাসীর। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সবাই যেন দিশেহারা। সবচেয়ে বড় হতাশাজনক বিষয় হলো, আগুন নিয়ে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর কার্যকর উদ্যোগ না নেয়া।
অগ্নিদুর্ঘটনার হাত থেকে জানমাল ও সম্পদ রক্ষার কার্যকর ব্যবস্থা হলো ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম (পানি সরবরাহের উৎস)। বিশ্বের প্রায় সব শহরে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে এ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলেও ব্যতিক্রম শুধু ঢাকা।
অপরিকল্পিত এ নগরীতে ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো উদ্যোগই নেয়া হয়নি। এ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দায়িত্ব পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ- ওয়াসার। কিন্তু ঢাকার কোথাও একটি ‘স্ট্রিট ফায়ার হাইড্রেন্ট’ স্থাপন করা হয়নি। অথচ, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিংবা এলাকা এবং মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় একটি করে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের কথা।
তবে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকায় রয়েছে তাদের ৮৬৫টি পাম্প। সবগুলো পাম্প স্টেশনেই রয়েছে ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম। চলতি বছরেই ঢাকায় বসানো হবে কয়েক হাজার ফায়ার হাইড্রেন্ট।
ফায়ার হাইড্রেন্ট হচ্ছে পানির একটি সংরক্ষণাগার। এখানে উচ্চ চাপে পানি সংরক্ষিত হয়। ফলে কাছাকাছি কোথাও আগুন লাগলে এ পয়েন্টে পাইপ লাগিয়ে সহজেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা যায়।
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের অধিকাংশ ঘটনায় পানি সংকটের কথা শোনা যায়। এক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত হয় ফায়ার হাইড্রেন্ট।