শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

স্যার দয়া করে পাস করিয়ে দিন, নইলে বাড়ি থেকে বের করে দেবে’

স্যার দয়া করে পাস করিয়ে দিন, নইলে বাড়ি থেকে বের করে দেবে। পিজ পিজ স্যার।’ কথাগুলো মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর। না, কথাগুলো সে শিক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে বলেনি। এমনকি ফোনেও নয়-এসব লিখেছে পরীক্ষার খাতায়।

খাতায় এমন লেখা দেখে অবাকই হয়েছেন পরীক্ষক। তবে আরও বেশি অবাক হয়েছেন ইংরেজিতে তার প্লিজ বানান লেখা দেখে। PLEASE এর পরিবর্তে সে লিখেছে Pizz।

ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। কেউ আবার উত্তরপত্রে মোবাইল নম্বর লিখে রেখেছেন। কোনো পরীক্ষার্থী প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু তা ভুল তো বটেই, খুবই হাস্যকর। কারও হাতের লেখা একেবারে বাজে, পরীক্ষক বুঝেই উঠতে পারেনি কী লিখেছে পরীক্ষার্থী।

পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিকে প্রতিটি বিষয়ে ১০০-এর মধ্যে মোট ২৫ পেলেই পাস। আবার এই ১০০-র মধ্যে ১০ নম্বর থাকে প্রজেক্ট। বাকি ৯০ নম্বরের উত্তর খাতায় লিখতে হয়। অধিকাংশ স্কুলেই প্রজেক্টের জন্য ১০-এ ১০ পাওয়া যায়। তবে ৯০-এর মধ্যে মাত্র ১৫ নম্বর পেলেই পাস করতে পারেন যেকোনো পরীক্ষার্থী।

India

এখন পরীক্ষার্থীদের যে দশা তাতে এই ১৫ নম্বরই বা কীভাবে দেয়া হবে-সেটাই ভাবছেন পরীক্ষকরা। এ বিষয়ে তাদের ভাষ্য, ‘এমতাবস্থায় কাউকে টেনেটুনে ১৩ নম্বর পর্যন্ত দেয়া যাচ্ছে, তার বেশি নয়।’

তবে যে পরীক্ষার্থী লিখেছিল মাধ্যমিক পাস না করলে, বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হবে- সে কোনোক্রমে পাস করে জানা গেছে। কিন্তু এসবের পরও ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, মাধ্যমিক পরীক্ষার এই বেহাল দশা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335