বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রলীগ নেতাদের শপথ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান ছাত্রলীগের এক সময়কার এই শক্তিমান নেতা। ২৮ বছর কেন প্রয়োজনে ২৮০ বছর ডাকসু বন্ধ থাকলেও ছাত্রলীগকে শপথ নিতে বারণ করেছেন তিনি।
সোমবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ছাত্রলীগ পেয়েছে ২৩টি। বাকি দুটি পদে জয় পেয়েছে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। হল সংসদগুলোতে ছাত্রলীগের জয়জয়কার থাকলেও নারী হলের কয়েকটিতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল জয়ী হয়েছে।
ডাকসুর সর্বোচ্চ পদে জয় পেয়েছেন কোটা আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভনকে ১৯৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ভিপি হয়েছেন নুর। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৬২ ভোট। আর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পেয়েছেন ৯ হাজার ১২৯ ভোট।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।
ডাকসুর ভিপি পদে নুরকে মেনে নিতে পারছেন ছাত্রলীগের এক সময়কার দাপুটে নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি নুরকে ছাত্রশিবির কর্মী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। নুরকে নিয়ে ছাত্র সংসদে যেতে অনুজদের বারণ করেছেন নাজমুল। প্রয়োজনে আরও ২৮০ বছর ডাকসু বন্ধ থাকলেও শপথ না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি শোভনের পরাজয়কে মেনে নিতে পারছেন না। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে নাজমুল লিখেছেন- ‘হতে পারে শোভনকে তুমি কম পছন্দ করো, কিন্তু শোভন কিন্তু ছাত্রলীগের চেয়ার এবং তোমাদের মিছিলের সাথী। ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুতে নির্বাচিতদের বলব জামায়াত-শিবির সাথে নিয়ে ছাত্র সংসদের শপথ নিও না। প্রয়োজন হলে ২৮ বছর না আরও ২৮০ বছর ডাকসু বন্ধ থাকুক। প্রাণের ক্যাম্পাসের নেতৃত্ব ওই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হাতে থাকবে এটা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের সাথে বেঈমানি করো না।’