শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৩৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী কিংস। যা আসরে তাদের ৭ ম্যাচে চতুর্থ জয়।
লক্ষ্যটা নেহায়েত ছোট নয়। রাজশাহী কিংসের দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিছুটা ধীরস্থিরভাবেই শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৫ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে মার্শাল আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম। ২৪ বলের এই ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান।
অপর ওপেনার বিজয় আরও কিছুটা সময় চেষ্টা করলেও ফিরে যান তিনিও। ২২ বলে ২৬ রান করে রায়ান টেন ডেসকাটের বলে নাফিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। বিজয়ের ফেরার মাত্র ৮ বল পরই ফিরে যান শামসুর রহমান। আরাফাত সানির বলে আউট হয়ে ফেরার আগে শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান।
নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। মাত্র ৭ বল খেলে ১২ রান করে ফেরেন জিয়াউর রহমান। বড় স্কোরের আভাস দিলেও ১৫ রানের বেশি আসেনি ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। ১০ বল খেলে একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে কাইস আহমেদের বলে ফেরেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
পরের বলেই কাইস ফেরান থিসারা পেরেরাকেও। সুযোগ তৈরি করেন আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের। তবে ওভারের শেষ বলে এই উইকেট পাওয়ায় সুযোগটা থেকে যায় পরের ওভারের জন্য। কিন্তু সুযোগটা আর হয়ে উঠল না।
একাধিক চার-ছক্কায় রানের চাকা বেশ সচল রাখেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি ও লিয়াম ডসন। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান তার তৃতীয় ওভারে রানের চাকা একেবারেই থামিয়ে দেন বলা যায়। আর এর পরের এক ওভারেই আফ্রিদি ও ডসন দুজনকেই ফিরিয়ে দেন ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৫ বলে ১৯ রান করে আফ্রিদি ও ১৪ বলে ১৭ রান করে ফেরেন ডসন।
শেষে পর্যন্ত ১৩৮ থামে কুমিল্লার রান। ৩৮ রানে জয় পায় মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী।
রাজশাহীর হয়ে একাই চার উইকেট তুলে নেন রাব্বি। দুটি করে উইকেট নেন ডেসকাট ও কাইস। একটি উইকেট পান আরাফাত সানি।
লরি ইভান্সের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও রায়ান টেন ডয়েসকাটের অন্যবদ্য হাফসেঞ্চুরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল রাজশাহী কিংস। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।