শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলে বসতির আগেই খুন-ধর্ষণের তদন্তে বিজ্ঞানীরা

২০২৩ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার মিশন হাতে নিয়েছে মানুষ। মানুষ যদি কখনও মঙ্গল গ্রহটিতে পৌঁছে যায়, সহজাত প্রবৃত্তিও তার সঙ্গেই যাবে।

ফলে একপর্যায়ে পৃথিবীর মতোই হত্যা, রাহাজানি, সহিংসতা প্রভৃতি অপরাধ থেকে মুক্ত থাকবে না লালগ্রহটিও। হবে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি।

ঘটবে ধর্ষণের মতো গুরুতর ঘটনাও। বহু বছর ধরেই মঙ্গলের মানব বসতি নিয়ে নানা চিন্তা-ভাবনা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে যাওয়ার পর মানুষ কিভাবে খাদ্য উৎপাদন করবে, কিভাবে পানি সংগ্রহ করবে- এমন নানা প্রশ্নের সমাধান খুঁজেছেন এবং তার উত্তর খুঁজে বের করেছেন।

তবে একটা প্রশ্ন এখনও তাদের অজানা রয়ে গেছে। সেটা হচ্ছে, সেখানে অপরাধ তদন্ত ব্যবস্থাটা কেমন হবে? সেখানে কি পৃথিবীর মতোই পুলিশি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে?

গ্রহটিতে পৌঁছার আগেই সেখানকার খুন-ধর্ষণের মতো নানা অপরাধের তদন্ত কিভাবে করা হবে, তা নিয়েও মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবীতে মানুষের নানা অপরাধ প্রতিরোধ করতে নানা আইন-কানুন তৈরি করা হয়েছে। সৃষ্টি করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে লাইটপোস্ট। বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে গঠন করা হয়েছে পেশাজীবী গোয়েন্দা বাহিনী। তাদের সজ্জিত করা হয়েছে সামরিক যান থেকে শুরু করে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে। মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রেও কি এসব ব্যবস্থাই থাকবে? মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক এক প্রতিবেদনে বলেছে, লালগ্রহের অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো ব্যাপক গবেষণা শুরু করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, সেখানে যাওয়ার আগেই গঠন করা যেতে পারে ‘মার্স পুলিশ ডিপার্টমেন্ট’। এ পুলিশ বাহিনী খুন-ধর্ষণের তদন্ত কিভাবে করবে তার নানা দিক নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

ক্রিশ্চিয়ান ডারওয়েন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গবেষক তিনি। কানাডার বরফাবৃত উঁচু পাহাড়ি এলাকায় মঙ্গল গ্রহের ভবিষ্যৎ বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। মঙ্গলের মতো প্রচণ্ড আবহাওয়ায় জৈব পদার্থ কিভাবে নষ্ট হতে পারে, সে বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞান রাখেন ডারওয়েন্ট। এর মাধ্যমে মঙ্গলে কোনো খুনের ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

খ্যাতনামা অপরাধ বিজ্ঞানী ও পুরস্কার বিজয়ী ‘মার্স ট্রিলজি’ বইয়ের লেখক স্ট্যানলি রবিনসন। মঙ্গলে পুলিশের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর বাইরে কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিভাবে কাজ করবে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে অ্যান্টার্কটিকা। মঙ্গলের মতোই বিরূপ ও প্রচণ্ড আবহাওয়া পৃথিবীর এ মেরু অঞ্চলে।

এই এলাকায় কোনো অপরাধ ঘটলে সেটা বিচারের আওতায় আনা খুবই কঠিন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সেখানে ঘটা একটা অপরাধের তদন্ত করতে এফবিআইকে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলে তদন্তের ক্ষেত্রেও এফবিআই গোয়েন্দাদের পাঠানো হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335