বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

এটাই দেশের সবচেয়ে বড় কুরবানির গরু! মুল্য কত জানেন?

জিটিবি নিউজ ডেস্কঃ  মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ গ্রামে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরুর ওজন হয়েছে ২ হাজার ৯৪ কেজি অর্থাৎ ৫২ মণ। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারি খাইরুল ইসলাম খান্নু গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২২ লাখ টাকা। এই গরুটিই দেশের সবচাইতে বড় আকারের ও বেশি ওজনের গরু বলে দাবি তার।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, তিনি ৫ দিন আগে (২৭ জুলাই) ৩ বছর ১০ মাস বয়সী ৬ দাঁতের ওই গরুটির আকার ও ওজন পরিমাপ করেছেন।

এতে দেখা যায়, গরুটির উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট, বুকের বেড় ১০ ফুট, মুখের চওড়া ৩ ফুট ২ ইঞ্চি, গলার বেড় ৫ ফুট, শিং ১ ফুট লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন ২ হাজার ০৯৪ কেজি অর্থাৎ ৫২ মণ।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ গ্রামে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গরুর ওজন হয়েছে ২ হাজার ৯৪ কেজি অর্থাৎ ৫২ মণ। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারি খাইরুল ইসলাম খান্নু গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২২ লাখ টাকা। এই গরুটিই দেশের সবচাইতে বড় আকারের ও বেশি ওজনের গরু বলে দাবি তার।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, তিনি ৫ দিন আগে (২৭ জুলাই) ৩ বছর ১০ মাস বয়সী ৬ দাঁতের ওই গরুটির আকার ও ওজন পরিমাপ করেছেন।

এতে দেখা যায়, গরুটির উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট, বুকের বেড় ১০ ফুট, মুখের চওড়া ৩ ফুট ২ ইঞ্চি, গলার বেড় ৫ ফুট, শিং ১ ফুট লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ওজন ২ হাজার ০৯৪ কেজি অর্থাৎ ৫২ মণ।

তিনি বলেন, তার জানা মতে এই গরুটিই আকার ও ওজনের দিক থেকে দেশে সবচেয়ে বড়।

খামারী খাইরুল ইসলাম খান্নু জানান, দুই বছর আগে সাভার উপজেলার বারাহিরচর এলাকার কৃষক কুদ্দুস মুন্সীর কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি ক্রয় করেছিলেন ১৮ মন ওজনের এই হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি।

এক বছর লালন-পালনের পর গত কুরবানি ঈদের সময় গরুটির ওজন বেড়ে হয় ৩৯ মন। ক্রেতারা গরুটির দাম করেছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একটু বেশি দামে বিক্রি করার আশায় অপেক্ষা থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি তিনি গতবার গরুটি বিক্রি করতে পারেননি। গরুটির ওজন বেড়ে হয়েছে ৫২ মণ। এবার তিনি গরুটরি দাম হাঁকাচ্ছেন ২২ লাখ টাকা।

খামারী খাইরুল ইসলাম খান্নুর স্ত্রী পরিষ্কার বেগম বলেন, বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। দিনে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ বার গোসল করাতে হয়। সারাদিন বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়। বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ থাকলে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সারাদিনই প্রায় এই গরুটির যত্ন করতে হয়।

তিনি বলেন, তাদের খামারে আরও যে ৭টি গরু আছে, তাদের যত্ন নেয়াই দায়। তার আশা এখন বাড়ি থেকেই যেন গরুটি ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা যায়।

খামারী খাইরুল ইসলাম খান্নুর মেয়ে ইতি আক্তার জানান, তিনি এসএসসি পাস করার পর ২০১৭ সালে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে গবাদি-পশু, হাস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক তিন মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন খামারের গরুর সার্বিক দেখাশোনা করেন।

তিনি জানান, গরুটি দেখতেও রাজার মতো, খায়ও রাজার মতো। এ কারণে তিনি গরুটির নাম রেখেছেন রাজা বাবু।
তিনি আরও বলেন, গরুটি প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার খাবার খায়। গরুটির খাবারের তালিকায় আছে, কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, চিটাগুড়, শুকনা খড়, কাঁচা ঘাস ইত্যাদি।

এদিকে গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন ওই খামারির বাড়িতে ভিড় করেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, যশোর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ।

টাঙ্গাইর জেলার দেলদুয়ার উপজেলার সিংহরাগী গ্রামের ইমরান খান বলেন, তার ছোট একটি গরুর খামার আছে। তিনি ফেসবুকের বকেটি গ্রুপের মাধ্যমে এই গরুর খবর জানতে পেরে গরুটি দেখতে এসেছেন।

তিনি বলেন, এত বড় গরু তিনি কখনও দেখেননি। তিনি নিজে গরুর খামার আরও বড় করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তার সঙ্গে আরও ৫ জন এসেছেন এই গরুটি দেখার জন্য।

উল্লেখ্য, ২ বছর আগের কুরবানির ঈদেও তিনি ৩৪ মনের একটি গরু ‘লক্ষ্মী সোনা’ রাজধানীর গুলশানে ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335