শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

মাছ বিক্রেতা তরুণীকে নিয়ে ফেসবুকে ঝড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হানান হামিদ। কেরলের মেয়ে কোচির আল আসার কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। লেখাপড়া করতেই হবে। এমনই অদম্য ইচ্ছা নিয়ে রেল স্টেশনে মাছ বিক্রি করেন হানান হামিদ। আর সেই খবর নিয়েই তুলকালাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। হানানকে নিয়ে খবর করে কেরলের একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিক।

আর তার পরেই হইচই পড়ে যায়। ওই খবরে বলা হয়, নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজে তুলতে রাত থাকতে বিছানা ছাড়তে হয় হানানকে। তিনটের সময়ে বেরিয়ে পড়তে হয় সাইকেল নিয়ে। চম্বক্করার পাইকারি মাছ বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে অটোয় করে নিয়ে আসে কোচির থাম্মানান এলাকায়।

ওই খবরে আরও বলা হয়, বাড়ি ফিরেই শুরু হয় কলেজ যাওয়ার প্রস্তুতি। লোকাল বাসে ৬০ কিলোমিটার দূরের কলেজ। সারা দিন ক্লাস করে ফিরে বাজারে মাছ বিক্রি। রাতে বাড়ি ফিরে আবার ভোর তিনটেয় উঠে মাছ কিনতে যাওয়া। এটাই হামিদ হানানের ৩৬৫ দিনের রোজনামচা।

কেন এমন জীবন হানানের? ওই খবরে দাবি করা হয়, মদ্যপ বাবা অনেক দিন আগেই সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। এই পরিস্থিতিতে সংসার সামলানো আর লেখাপড়া চালানোর কঠিন লড়াইটা সামলাতেই হয় হানানকে।

এই খবর প্রকাশের পরেই ওই সংবাদপত্রের ফেসবুকে ঝড় ওঠে। বহু মানুষ যেমন এই লড়াইকে কুর্নিশ করেছেন তেমনই আবার অনেকেই পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। হানান শুধু লেখাপড়াতেই ভাল নয়, সে অভিনয় ও আবৃত্তিতেও পারদর্শী। তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য যাঁরা এগিয়ে এসেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণের পরিচালক অরুণ গোপি। তাঁর আগামী ছবিতে হানানকে অভিনয় করার প্রস্তাবও দিয়েছেন গোপি।

এত কিছুর মধ্যে হানানকে বিরূপ মন্তব্যও শুনতে হয়েছে অনেক। ওই খবর প্রকাশের পরে সংবাদপত্রের ফেসবুকে অনেকেই সিনেমায় সুযোগ পাওয়ার জন্য সাজানো ঘটনা বলে কমেন্ট করেছেন। এর জবাবে সংবাদ মাধ্যমকে হানান বলেছেন, ‘‘যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা আমায় জানেন না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় থেকেই আমায় প্রতিদিনের লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’’ হানানের এই লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছেন আল আসার কলেজের প্রধানও।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335